গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ছত্রকান্দা ব্রিজের পাশে সরকারি খালের জমি দখল করে এক ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি ধানসিঁিড় নদী থেকে শাখা খাল প্রবাহিত হয়ে। ছত্রকান্দাবাজার থেকে শ্রীমন্তকাঠি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা এ খাল। এখন সেচ কাজের জন্য ব্যবহার হলেও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। গত দুইদিন থেকে ছত্রকান্দা বাজারের গ্রাম পুলিশ ও ধানসিঁিড় ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির পাড় থেকে ভেতরের দিকে প্রায় ৫ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের পিলার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। খালের পাড়ের অংশে মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ১ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
ছত্রকান্দা গ্রামের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। এ খালের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ মো.মনির হাওলাদারের ভাই শাহীন হাওলাদার বলেন, আমাদের পৈতৃক জায়গায় আমরা দোকান নির্মাণ করতেছি। খালের অংশে আমাদের জমিতে পিলার দিয়েছি। এসময় আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন ও স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ দেওয়ার পরে তারা কাজ করতে বলেছে। এরপরে আমরা কাজ শুরু করেছি। খালের জমি হয়ে থাকলে সরকার চাইলে ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে খালের দুইপাশের কৃষকরা ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী‘র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খাল বা জলাধার বন্ধ করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। আমার তহশিলদার গিয়েছিল। বাধা দিয়েছে কাজে ও আমি ভেংগে ফেলতে বলেছি। নির্মাণকারী বলেছে তার রেকর্ডীয় জমি। আমি বলেছি খাল রেকর্ডীয় হতে পারে না। সে আমাকে কাল তার দাবির পক্ষে কাগজপত্র দেখাবে। আর স্থাপনা ভেংগে নিবে বলেছে।
Leave a Reply