বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
ঝালকাঠিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ॥ এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ

ঝালকাঠিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ॥ এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ

গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ছত্রকান্দা ব্রিজের পাশে সরকারি খালের জমি দখল করে এক ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি ধানসিঁিড় নদী থেকে শাখা খাল প্রবাহিত হয়ে। ছত্রকান্দাবাজার থেকে শ্রীমন্তকাঠি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা এ খাল। এখন সেচ কাজের জন্য ব্যবহার হলেও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। গত দুইদিন থেকে ছত্রকান্দা বাজারের গ্রাম পুলিশ ও ধানসিঁিড় ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির পাড় থেকে ভেতরের দিকে প্রায় ৫ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের পিলার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। খালের পাড়ের অংশে মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ১ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
ছত্রকান্দা গ্রামের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। এ খালের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ মো.মনির হাওলাদারের ভাই শাহীন হাওলাদার বলেন, আমাদের পৈতৃক জায়গায় আমরা দোকান নির্মাণ করতেছি। খালের অংশে আমাদের জমিতে পিলার দিয়েছি। এসময় আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন ও স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ দেওয়ার পরে তারা কাজ করতে বলেছে। এরপরে আমরা কাজ শুরু করেছি। খালের জমি হয়ে থাকলে সরকার চাইলে ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে খালের দুইপাশের কৃষকরা ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী‘র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খাল বা জলাধার বন্ধ করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। আমার তহশিলদার গিয়েছিল। বাধা দিয়েছে কাজে ও আমি ভেংগে ফেলতে বলেছি। নির্মাণকারী বলেছে তার রেকর্ডীয় জমি। আমি বলেছি খাল রেকর্ডীয় হতে পারে না। সে আমাকে কাল তার দাবির পক্ষে কাগজপত্র দেখাবে। আর স্থাপনা ভেংগে নিবে বলেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com