শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি এতিম শিশুর অধিকার নিশ্চিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধবা মা
ঝালকাঠিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ॥ এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ

ঝালকাঠিতে সরকারি খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ॥ এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ বন্ধ

গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি ॥ বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ছত্রকান্দা ব্রিজের পাশে সরকারি খালের জমি দখল করে এক ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি ধানসিঁিড় নদী থেকে শাখা খাল প্রবাহিত হয়ে। ছত্রকান্দাবাজার থেকে শ্রীমন্তকাঠি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা এ খাল। এখন সেচ কাজের জন্য ব্যবহার হলেও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। গত দুইদিন থেকে ছত্রকান্দা বাজারের গ্রাম পুলিশ ও ধানসিঁিড় ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির পাড় থেকে ভেতরের দিকে প্রায় ৫ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের পিলার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। খালের পাড়ের অংশে মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ১ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
ছত্রকান্দা গ্রামের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। এ খালের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশ মো.মনির হাওলাদারের ভাই শাহীন হাওলাদার বলেন, আমাদের পৈতৃক জায়গায় আমরা দোকান নির্মাণ করতেছি। খালের অংশে আমাদের জমিতে পিলার দিয়েছি। এসময় আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন ও স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে মাপ দেওয়ার পরে তারা কাজ করতে বলেছে। এরপরে আমরা কাজ শুরু করেছি। খালের জমি হয়ে থাকলে সরকার চাইলে ভেঙে ফেলা হবে। এ ব্যাপারে খালের দুইপাশের কৃষকরা ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো.জোহর আলী‘র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খাল বা জলাধার বন্ধ করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। আমার তহশিলদার গিয়েছিল। বাধা দিয়েছে কাজে ও আমি ভেংগে ফেলতে বলেছি। নির্মাণকারী বলেছে তার রেকর্ডীয় জমি। আমি বলেছি খাল রেকর্ডীয় হতে পারে না। সে আমাকে কাল তার দাবির পক্ষে কাগজপত্র দেখাবে। আর স্থাপনা ভেংগে নিবে বলেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com